বই পরিচিতি

 
পুস্তক আলোচনা : ‘এশকে রাসূল’ বিন্দুর মাঝে সিন্ধু
 মোহাম্মদ নজমুল হুদা খান

এশকে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
মূল: ড. তাহের আল কাদেরী
ভাষান্তর: মাওলানা মীর জাভেদ ইকবাল
সম্পাদনা : আবূ আহমেদ জামেউল আখতার চৌধুরী
প্রকাশক: মোহাম্মদ আবূ তৈয়ব চৌধুরী
সন্জরী পাবলিকেশন

এশকে রাসূল মুমিন জীবনের প্রতি মুহূর্তে অতি কাক্সিক্ষত একটি বিষয়। মুমিন মাত্রই রাসূলে পাক (সা.)-এর এশকে বিভোর হয়ে তাঁরই ভালবাসায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়। এশকে রাসূল তথা হুব্বে রাসূল মুসলমানের ঈমানের অন্যতম মূল বিষয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সর্বোচ্চ ভালবাসা না থাকলে ঈমান পূর্ণ হয় না। হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে মাকবূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ ইমানদার হবে না যে পর্যন্ত আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সকল মানুষের চেয়ে প্রিয় না হব।’ একজন মুসলমান যাতে নিজেকে রাসূলের প্রেম সাগরে আপাদমস্তক ডুবিয়ে দিতে পারে সেজন্য রাসূলপ্রেমের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, এর প্রকৃতি কেমন হবে, রাসূলে পাক (সা.)-এর পরিচয় কি এবং তাঁর প্রিয় সাহাবাদের তাঁর প্রতি ভালবাসা কেমন ছিল এমন বিষয় নিয়ে যুগে যুগে আশিকে রাসূলগণ নিজেদের প্রেমময় কাব্য-পংক্তিমালার পসরা সাজিয়েছেন তেমনি অনেকে লিখে গেছেন কালোত্তীর্ণ রচনা। এ ধারায়  নিজেকে শক্তভাবে যুক্ত করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের সেরা লেখক ও ইসলামী গবেষক, অসাধারণ বাগ্মী, সময়ের সেরা সংগঠক ও ইসলামী  চিন্তাবিদ প্রফেসর ড. তাহের আল কাদেরী। উর্দূ, ইংরেজী ও আরবী ভাষায় এ পর্যন্ত তাঁর রচিত  তিনশ’র বেশী  গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সকল রচনাই ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা নির্ভর। তাঁর রচনার অন্যতম হলো ‘এশ্্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’। এ রচনাকে লেখক ৭টি পর্বে বিভক্ত করেছেন। প্রথম পর্বের শিরোনাম ‘ঈমান-ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’। এ পর্বে লেখক হুব্বে রাসূল থেকে মুসলমানদের মন-মানসকে ফিরিয়ে রেখে তাদেরকে আদর্শবিচ্যুত করার পশ্চিমা ষঢ়যন্ত্রের প্রতি আলোকপাত করেছেন। ‘শানে রিসালতে মাআব’ শিরোনামীয় ২য় পর্বে লেখক বিভিন্ন উপশিরোনামে যে সকল বিষয় এনেছেন এর মধ্যে রয়েছে-আল্লাহর কাছে নবীর মর্যাদা, মোহাম্মদী বংশধারার পবিত্রতা, মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের বরকত ইত্যাদি।
‘আমার নবী হন গো যেমন, অন্য কেহ নয় কো তেমন’ শিরোনামের তৃতীয় পর্বে লেখক তাফসীরে কুরআনের আলোকে ও যুগশ্রেষ্ঠ মনীষীদের বরাতে জামালে মুস্তফা (সা.)-এর কিছু নমুনা তুলে ধরেছেন। এ পর্বে আলোচিত বিষয়সমূহের মধ্যে রয়েছে-আকৃতি ও প্রকৃতিতে নবীপাকই সর্বশ্রেষ্ঠ-পূর্ণতম, নবী পাকের সৌন্দর্য, মর্যাদা ও গুণাবলী বেষ্টনীবদ্ধ করা অসম্ভব, নবী পাকের গুণাবলী বর্ণনায় অতিরঞ্জনের মর্মকথা, মোহাম্মদী সৌন্দর্যকে অনুপম জ্ঞান করা ইমানী দাবী, মোহাম্মদী সৌন্দর্যই সৌন্দর্যের মূল মানদন্ড, নবী পাকের সৌন্দর্যে ওয়াইস করনী, নবী পাকের বাহ্যিক সৌন্দর্যও চোখ ভরে দেখা সম্ভব নয় ইত্যাদি। এ পর্বে প্রথমেই লেখক রাসূলে খোদা (সা.)-এর সৌন্দর্য বর্ণনায় সকল পর্যায়ের লেখক-সাহিত্যিকদের ব্যর্থতা ও অপারগতার কথা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়- “হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সৌন্দর্য বর্ণনায় আধ্যাত্মবাদী ও চক্ষুষ্মানরা নিজেদের লেখনীতে ভাষা-নৈপুণ্যের শৈল্পিক বৈশিষ্টাবলীর সিন্ধু বইয়ে দিয়েছেন, কবিরা দিয়েছেন কাব্যিক রূপ। কিন্তু কেউই এই অনবদ্য শাশ্বত খোদায়ী প্রতীকের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেন নি। শেষ অবধি তাঁদের জন্য অপারগতা ও জ্ঞান-স্বল্পতার স্বীকৃতি ছাড়া কোন উপায় অবশিষ্ট থাকে নি।” রাসূলে পাক (সা.) হলেন সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। আল্লাহর পরেই তাঁর স্থান। তাঁর মর্যাদা ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে অতিরঞ্জনের অর্থ হলো তাঁকে খোদা বা খোদার পুত্র বলা, যেমন খৃষ্টানরা তাদের নবীকে খোদা বা খোদার পুত্র বলেছে। এ অতিরঞ্জন থেকে মুক্ত থেকে নবীর শানে যে কোন গুণ যুক্ত করলেও তা নবীর প্রকৃত মর্যাদার তুলনায় কম হবে। এ বিষয়ে লেখক যে সকল উদ্ধৃতি দিয়েছেন তন্মধ্যে দুটি বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। আল্লামা ইবনে হাজর মক্কী (র.) বলেন- “হুযূর পাক (সা.)-এর মর্যাদা ও গুণাবলী পরিবেষ্টন করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই হে প্রশংসাকারী! তুমি হুযূর পাক (সা.)-এর প্রশংসা যতই বাড়িয়ে করে থাক না কেন, তা দিয়ে হুযূরের উচ্চমান মর্যাদা ও শান বর্ণনা বাতুলতা মাত্র। কোথায় সুরাইয়া নক্ষত্র আর কোথায় তোমার স্পর্শোন্মুখ হাত!” মুহাদ্দিস  ইমাম মুনাদী (র.) বলেন-  “হুযূর পাক (সা.)-এর আসল হাকীকত তো দূরের কথা, কিঞ্চিৎও যে ক্ষেত্রে বিবৃতি-বদ্ধ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে এই অসম্ভব সুদূরপরাহত বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি কিংবা অতিরঞ্জন, যা-ই হোক, তা এক ধরনের অপূর্ণাঙ্গতাজনিত অপরাধও বটে।”
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভালবাসার প্রয়োজনীয়তা কি’ শিরোনামের ৪র্থ পর্বে লেখক হুব্বে রাসূলের প্রয়োজনীয়তা, এর প্রকৃতি, সুফল ও নবী করীম (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন। এ পর্বে লেখক যে সব উপশিরোনাম ব্যবহার করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- নবী প্রেমের মূল তত্ত্ব, প্রেমের হাকীকত,  প্রেমের মূল কারণ কি, উদার মানবতা : নবী পাকের চাইতে বড় কে হতে পারে, নবী পাকই একমাত্র ভালবাসা পাওয়ার যোগ্য : কি শরীয়তের দৃষ্টিতে কি সৃষ্টির আপন আগ্রহে, নবী পাকের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা সত্য দ্বীনের প্রথম শর্ত, নবী প্রেমের সুফল, জ্যোতির্ময় চেহারা মোবারক দর্শনে সাহাবীরা শীতল করতেন প্রেমানল ইত্যাদি। ‘নবী প্রেমের মূল তত্ত্ব’-এর মধ্যে লেখক হযরত সুফয়ান ছওরীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন- ‘নবী-অনুসরণই হল নবীপ্রেম’। এ অংশে লেখকের প্রদত্ত বক্তব্য আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা কেবল মুখে নবীপ্রেমের দাবী করি কিন্তু বাস্তব জীবনে নবী করীম (সা.)-এর অনুসরণকে তেমন গুরুত্ব দেই না। প্রকৃত অর্থে আমাদের এ ভালবাসার দাবী যথার্থ নয়। হুব্বে রাসূলের দাবীতে নিজেদেরকে পাকাপোক্ত করতে হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অনুসরণে আমাদের নিবিষ্ট হতে হবে।
‘নবী পাকের প্রতি খাঁটি প্রেমের পরিচয়’ শীর্ষক ৫ম পর্বে লেখক নবীপ্রেমের ১৩টি শর্ত বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে প্রথম শর্তই হলো প্রেমাস্পদ তথা নবী করীম (সা.)-এর পূর্ণ আনুগত্য। এ ছাড়া অন্যান্য শর্তসমূহ হলো- নবী করীম (সা.)-এর আদেশ মান্য করা, তাঁকে অধিক স্মরণ করা, তাঁর দীদারের তীব্র বাসনা, তাঁর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ, তাঁর নাম উচ্চারণের সময় আদব, ভক্তি ও শ্রদ্ধাবোধ, তাঁর ভাললাগার ব্যক্তিদের ভালবাসা যেমন সাহাবাদের প্রতি ভালবাসা, আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসা, মুহাজির ও আনসারদের প্রতি ভালবাসা এবং আরবদের প্রতি ভালবাসা, তাঁর পছন্দনীয় বস্তুর প্রতি ভালবাসা যেমন তাঁর পছন্দনীয়  খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদির প্রতি ভালবাসা, তাঁর অপছন্দের প্রতি ঘৃণাবোধ, তাঁর শত্রুদের প্রতি শত্রুতাপোষণ, কুরআন-হাদীসের প্রতি ভালবাসাবোধ, তাঁর উম্মতদের মঙ্গল কামনা, বিত্তহীনের দরবেশী বেশ পরিগ্রহ করা এবং সর্বোপরি তাঁকে যে কোন দোষ-ত্রুটির উর্ধ্বে জ্ঞান করা। এ পর্বে পরিপূর্ণ প্রেমের পূর্বশর্তের মধ্যে তিনি কাযী আয়ায মালিকী (র.)-এর একটি উক্তি নিয়ে এসেছেন। কাযী আয়ায বলেছেন, কাউকে ভালবাসার অর্থ হলো প্রেমাস্পদের আনুকুল্য ও আনুগত্যকে নিজের জন্য আবশ্যকীয় করে নেয়া। এতদ্ভিন্ন সে তার দাবীতে সৎ হতে পারে না।
৬ষ্ঠ পর্বে লেখক ‘মোস্তাফা সুন্দরের আশেকগণের প্রেম-নমুনা’ শিরোনামে রাসূল (সা.)-এর প্রতি সাহাবায়ে কিরামের ভালবাসার কয়েকটি নমুনা তুলে ধরেছেন। সাহাবায়ে কিরামের অনেকেরই অবস্থা এমন ছিল যে তাঁরা রাসূল (সা.)-কে দিনে অন্তত: একবার না দেখলে পাগলপারা হয়ে যেতেন। তাঁকে কখনো বিচলিত বা বিপদগ্রস্থ দেখলে তারা সর্বাধিক বিচলিত হয়ে পড়তেন, আবার তাঁকে নিরাপদ কিংবা হাসোজ্জ্বল দেখলে তারাই সবচেয়ে বেশী খুশী হতেন। এমনকি নিজের পরিবার-পরিজন হারানোরও পর ‘রাসূল (সা.) ভাল আছেন’ এই সংবাদে তাদের সকল বিপদ-আপদ তুচ্ছ হয়ে যেত। ৭ম পর্বে লেখক হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানে সাহাবাদের বেদনা-বিধুর অবস্থার বিবরণ তাফসীর, হাদীস ও ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাবলীর বরাতে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। তার বর্ণনাভঙ্গি প্রেমিক হৃদয়ে বেদনার ঝড় তুলে। এ অংশে লেখক হযরত বেলাল (রা.)-এর উন্মত্ত প্রেমের উপাখ্যান, হাস্সান বিন সাবিত (রা.)-এর শোকগাঁথাসহ কয়েকজন সাহাবীর বিরহ-কাতর অবস্থা বর্ণনার পাশাপাশি নবী-বিরহে শুকনো কাষ্ঠ, খেজুর বৃক্ষ ও ভারবাহী পশুর অবস্থা কী হয়েছিল তাও তুলে ধরেছেন।  সবশেষে পরিশিষ্টাংশে লেখক হুব্বে রাসূলকে যারা ‘পাগলামো’ বা অতিরঞ্জন বলে থাকে তাদের কথার একটি সূক্ষ কারণ বর্ণনা করেছেন। তিনি রাসূল (সা.)-কে ‘সকল সুন্দরের প্রাণ’, ‘বাস্তব সুন্দরের সত্যরূপ-মূতি’ আখ্যায়িত করে বলেন, “সকল সুন্দরের প্রাণ, বাস্তব সুন্দরের সত্যরূপ-মূতি থেকে আমরা চোখ ফিরিয়ে রেখেছি। সেই জগৎ-প্রেমাস্পদের ভালবাসা থেকে নিজেকে দূরে রাখবার কারণে আমাদের দিবস-রজনীগুলো তমসাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। অনুগ্রহ ও কৃতজ্ঞতার সেই উৎসমূল থেকে আমাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ কারণেই তো আমাদের কাছে এসব এশ্্ক ও ভালবাসাপূর্ণ কথাগুলো এবং নবী বিরহের শোকগাঁথাগুলো কখনো পৌরাণিক কথা বলে মনে হয়, আবার কখনো প্রাচীন যুগের কল্পকাহিনী বলে ধারণা হয়। আফসোস! শত আফসোস!! আমরা যদি অন্তত হযরত বেলাল (রা.)-এর নবী-প্রেম দেখে নিতাম, আবূ বকর সিদ্দীকের এশকের উন্মাদনার কথা জানতে পারতাম...নিদেনপক্ষে খেজুর বৃক্ষের শুকনো কান্ডের আহাজারী ও ডুকরে উঠা ক্রন্দনের দৃশ্য অনুধাবন করতে পারতাম, তা হলে এশ্কে রাসূলকে ‘পাগলামো’ ও ‘অতিরঞ্জন’ বলে কিছু কিছু লোকের মতো উড়িয়ে দিতে পারতাম না।”
ড. তাহের আল কাদেরীর ‘এশকে রাসূল’ একটি অনবদ্য গ্রন্থ। এর পাতায় পাতায় লেখক প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের উদ্ধৃতি ও মহা-মনীষীদের বাণী উদ্ধৃত করে এশকে রাসূলের প্রয়োজনীয়তা ও প্রকৃতি অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। স্থানে স্থানে ব্যবহার করেছেন কালোত্তীর্ণ আরবী ও উর্দু কবিতার পংক্তিমালা। বিশেষত: বার বার আল্লামা ইকবালের কাব্য-পংক্তির উদ্ধৃতি এতে আলাদা মাত্রা যুক্ত করেছে। এর পরিসর বড় না হলেও এশকে রাসূল ও এর প্রাসঙ্গিক বিষয়াবলী সবই এতে উঠে এসেছে। যেন বিন্দুর মাঝে সিন্ধুকে ধারণ করা হয়েছে। বাংলাভাষায় অনূদিত এ গ্রন্থটির শুরুতে রয়েছে ‘সম্পাদকের কিছু কথা’ ও ‘প্রকাশকের বক্তব্য’। মূল উর্দু গ্রন্থের শুরুতে রয়েছে আলী আকবর কাদেরী’র লেখা ‘প্রাককথন’। বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা মীর জাভেদ ইকবাল। অনুবাদক লেখকের মূলভাব ও সাহিত্যমান বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। বৃহদাংশে সফল হলেও কখনো কখনো শব্দপ্রয়োগে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে আরবী ও উর্দু কাব্য-পংক্তিমালার কাব্যানুবাদ করা হয়েছে। তবে কাব্যানুবাদ আরো মানোত্তীর্ণ হলে ভাল হতো।  বইটির অনুবাদ সম্পাদনা করেছেন আবূ আহমেদ জামেউল আখতার চৌধুরী। এটি প্রকাশক করেছেন সঞ্জরী পাবলিকেশনের মোহাম্মদ আবূ তৈয়ব চৌধুরী। প্রকাশকাল-এপ্রিল ২০০৯। বইটির প্রচ্ছদ মোটামুটি, ছাপা ও বাঁধাই ভাল। মূল্য- ১৬০/= (একশত ষাট টাকা)।

(সূত্র : সাপ্তাহিক পূর্বদিক, সূচনা সংখ্যা, ১০ অক্টোবর ২০১১)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন